২০০৪ সালের এ দিনে সুন্দরবনের কটকায় সফরে গিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের নয়জন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুজন জনসহ মোট ১১ জন ছাত্র-ছাত্রী সমুদ্রগর্ভে ডুবে প্রাণ হারান। সেই থেকে প্রতিবছর দিনটিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় শোকাবহ সাজে। ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের সারিবদ্ধ গাছে কালো কাপড় জড়িয়ে শোকের আবহ তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’: খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দুজন অপসারণ
বিশ্ববিদ্যালয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে সকাল ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ করে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি শুরু হয়ে কটকা স্মৃতি স্তম্ভে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এরপর কটকা স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে উপাচার্যের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন, ইংরেজি ডিসিপ্লিন, শিক্ষক সমিতি, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এছাড়া নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরে ডিসিপ্লিন প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খোঃ মাহফুজ উদ-দারাইনের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।